New-Orleans

Écrit par Wald-Lasowski Aliocha (France) 27 janvier 2018

NEW-ORLEANS

 

Ville de Louisiane aux Etats-Unis

 

La distance entre la capitale de la Louisiane, Bâton Rouge, où Edouard Glissant enseigne à la Louisiana State University, en tant que distinguished professor, de 1988 à 1995, et la grande ville en forme de croissant, surnommée « Big Easy » ou « Crescent City », qu’est la Nouvelle-Orléans, se borne à une centaine de kilomètres. Pour rejoindre les deux villes en voiture, il faut longer le Mississippi et emprunter la route des Plantations que les maîtres négriers ont fait construire par leurs esclaves, dans une terre au climat subtropical, soumise à de violentes tempêtes, à de terribles cyclones.

En août 2005, l’ouragan Katrina s’abat ainsi sur la Nouvelle Orléans, faisant près de 2000 victimes, laissant un million de personnes sans abri. L’un des collègues d’Edouard Glissant à l’Université, Jeff Humphries, qui vient de traduire ses poèmes dans The Collected Poems of Edouard Glissant (University of Minnesota Press), assiste, depuis sa maison située dans le quartier français de la Nouvelle-Orléans, aux ravages de l’ouragan, puis aux pillages et aux violences qui lui succèdent. Katrina, mon amour est le récit qu’il en tire.

Dans sa préface au témoignage d’Humphries – sous le titre de « Jeff Humphries, la Nouvelle-Orléans, la Mélancolie » -, Glissant revient sur l’histoire de la Nouvelle-Orléans, ville négrière, ville créolisée, au même titre que Carthagène des Indes, Salvador de Bahia ou Saint-Pierre de Martinique, victimes, de leur côté, de régulières catastrophes volcaniques.

L’une des principales caractéristiques des villes créolisées – dans le mélange, le métissage et l’archipélisation – est d’avoir subi les colonisations successives des empires, espagnol, britannique, français et hollandais. L’essor urbain de chaque société créole est similaire, qu’il s’agisse des modes de vies et des mœurs, du système législatif ou de l’architecture. La Havane et Santiago de Cuba, La Nouvelle-Orléans et Port-au-Prince, ou les villes côtières des pays andins, sont toutes des villes créoles. Dans Le Discours antillais, Glissant analyse l’identité des organisations sociales et des structures économiques, issues, à l’origine, du système des plantations, clos et fermé sur lui-même.

Mais la Nouvelle-Orléans est aussi, pour Edouard Glissant, dans sa puissante relation à la musique, la ville qui a vu naître les formidables musiciens du blues et du jazz, comme Louis Armstrong et Sydney Bechet.

Fondée en 1718 par des colons français, la Nouvelle-Orléans devient à partir de 1910 un lieu de bouillonnement artistique et musical. Dérivé du français « jaser », le mot « jazz » renvoie dans le patois créole au rythme musical. L’expression argotique américaine « jizz » ou « jasm » signifie « énergie » et « vitalité ». Et « jazz » vient aussi de l’argot cajun « jasmin », utilisé dans le commerce cosmétique qui se développe alors à la Nouvelle-Orléans, marqué par la vente de parfums au jasmin.

La créolisation musicale du jazz naît, à la Nouvelle-Orléans, de l’échange et de la fusion des styles : ici un vieux quadrille français, une parade militaire, le ragtime des orchestres de fanfare ; là un gospel lancé à l’église, le blues du chant des esclaves dans les plantations ; à quoi s’ajoutent l’écho d’une valse ou d’une mazurka, et la mélancolie trépidante des tangos, chactas, calindas ou habaneras.

De sorte que la Nouvelle-Orléans est le nom de cette modernité mouvante, douloureuse et vibrante, sans cesse renouvelée, qui au-delà des frontières nourrit la musique du Tout-monde.

 

 

 

Bibliographie :

Edouard Glissant, Le Discours antillais, Gallimard, 1981.

Edouard Glissant, The Collected Poems of Edouard Glissant, translated, edited and with an introduction by Jeff Humphries, University of Minnesota Press, 2005.

Edouard Glissant, « Jeff Humphries, La Nouvelle-Orléans, la Mélancolie », in Jeff Humphries, Katrina, mon amour, Paris, éd. du Seuil, 2008, p. 7-16.

 

Liens :

http://www.lsu.edu/

নিউ অরলিয়ন্স( New Orleans)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা রাজ্যের একটি শহর।

লুইজিয়ানার রাজধানী বাতোঁ রুজে (Baton Rouge) অবস্থিত লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (Louisiana State University)  Edouard Glissant একজন বিশিষ্ট অধ্যাপক হিসেবে ১৯৮৮-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত করমরত ছিলেন। সেই বাতোঁ রুজ (Baton Rouge) থেকে ক্রয়াস্যঁ (Croissant) এর মত আকৃতির লুইজিয়ানা রাজ্যের একটি বড় শহর যা আবার Big Easy বা Crescent City হিসেবেও পরিচিত, সেই নিউ অরলিয়ন্স শহরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের বেশী নয়। গাড়ি চালিয়ে শহর দুটিতে পৌছাতে হলে মিসিসিপির ধার  ঘেঁসে যেতে হবে এবং নিতে হবে  প্লান্টেসনের (Plantation) সেই রাস্তা যা ক্রিতদাস ব্যবসায়ীরা ক্রীতদাসদের দিয়ে তৈরি করিয়ে ছিল এমন একটি অঞ্চলে যা সর্বদাই প্রতিকূল আবাহাওয়ার ( ঘূর্ণিঝর, সাইক্লোন ) ভয়াবহ শিকার।

২০০৫ সালের আগস্টে  ক্যাটরিনা নামক হ্যারিকেনের আঘাতে নিউ অরলিয়ন্সে প্রায় ২০০০ লোক প্রান হারায় এবং আনুমানিক ১০ লাখ লোক গৃহহীন হয়। Jeff Hamphries,  Glissant এর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকর্মী, যে সেই সময়ে    Edouard এর লেখা কিছু কবিতা অনুবাদ করেছিলেন যা The Collected Poems of Edouard Glissant –  এই শিরোনামে  University of Minnesota Press থেকে প্রকাশিত হয়। ঠিক ঐ সময়ে  Hamphries নিউ অরলিয়ন্সের ফরাসি এলাকায় অবস্থিত নিজ বাড়ীতে থাকায়, হ্যারিকেনের কারণে ঘটে যাওয়া বিপুল ক্ষয়ক্ষতির এবং  প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী লুটপাট আর সহিংসতার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। যা তাকে Katrina, mon amour  (ক্যাটরিনা, আমার ভালবাসা)  নামের গল্পটি লিখতে অনুপ্রানিত করে ।

Jeff Humphries, New Orleans, Melancholy – এই শিরোনামে Hamphries এর  সাক্ষের মুখবন্ধে Glissant  তুলে ধরেন নিউ অরলিয়ন্সের ইতিহাস- যেই শহর ইতিহাসে পরিচিত দাসত্বের শহর, ক্রেওলাইজড শহর (Créolisée ville) হিসেবে। ঠিক যেমন Carthagène des Indes, Salvador de Bahia বা Saint-Pierre de Martinique –শহর গুলো পরিচিত নিয়মিত আগ্নেয়গিরির বিপর্যয়ের শিকারের উদাহরণ হয়ে।

ক্রেওলাইজড শহরগুলোর (Creolized cities) একটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণ এবং আরশিপেলিজাসিওঁ (Archipelisation) যা এসেছে স্প্যানিশ, ব্রিটিশ, ফরাসি এবং ওলন্দাজদের ধারাবাহিক ঔপনিবেশিকতার ফলস্বরূপ। প্রত্যেকটি ক্রেওল শহরের নগর উন্নয়ন অভিন্ন – হোক সে জীবন ধারণের রীতি, আইন ব্যবস্থা কিংবা স্থাপত্যশিল্প। Havana ,Santiago de Cuba,New Orleans , Port-au-Prince, সমুদ্র উপকূলীয় আনদেয়ান(Andean) রাজ্যগুলো সবই ক্রেওল ( Créole) শহর। Edouard Glissant তার Le Discours antillais এ উল্লেখ করেছেন শহরগুলোর সামাজিক সংগঠন, অর্থনৈতিক  কাঠামো এ সব কিছুই গরে উঠেছে Plantation System  কে ঘিরে।

কিন্তু Edouard Glissant মনে করেন নিউ অরলিয়ন্স সেই শহর যা প্রত্যক্ষদর্শী মহান সব Blues এবং Jazz সঙ্গীতবিশারদদের (Louis Armstrong, Sydney Bechet) উত্থানের। তাই সংগীতের সাথে এই শহরটির সম্পর্ক বেশ দৃঢ়।

১৭১৮ সালে ফরাসি  ঔপনিবেশিকদের দ্বারা গড়ে ওঠা নিউ অরলিয়ন্স ১৯১০ সাল থেকেই হয়ে ওঠে শিল্পকলা আর সঙ্গীতের কেন্দ্রবিন্দু। ফরাসি Jaser, শব্দ থেকে আগত  Jazz শব্দটি নির্দেশ করে Creole patois music rhythm কে। আমেরিকান অপভাষার Jizz or Jasm শব্দ দুটির অর্থ   যথাক্রমে  energy  (শক্তি)এবং vitality (জীবনীশক্তি)। Jazz শব্দটির উৎপত্তি শুধুমাত্র ফরাসি Jaser থেকে নয়, Cajun অপভাষা Jasmine থেকেও। যে শব্দটির প্রচলন ছিল প্রসাধন বাণিজ্যে যা জেসমিন সুগন্ধির বিক্রির মধ্য দিয়ে সেই সময়ের নিউ অরলিয়ন্সে গড়ে উঠেছিল।

নিউ অরলিয়ন্সে Jazz সংগীতে  Creolisation  এর  শুরু শৈলীর বিনিময় আর সংমিশ্রণের মাধ্যমে- পুরাতন ফরাসি যুগল নৃত্য, সামরিক প্যারেড, অর্কেস্ট্রার বাজনা , গির্জার বেদবাক্য, Plantation  এর ক্রীতদাসদের নিরাশার গান। যার সাথে আরও যোগ হয় Waltz , Mazruka  আর Tangos, Chactas, Calindas কিংবা Habaneras এর তীব্র বিষণ্ণতা।

সুতরাং, নিউ অরলিয়ন্স একটি  চলমান, বেদনাদায়ক ,স্পন্দনশীল  আধুনিকতার নাম যা ক্রমাগত বিকশিত এবং আধুনিকতার সেই ধারা যা সীমান্ত অতিক্রম করে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গীতকে পরিপুষ্ট করছে।